কলেজে ভর্তি হলাম। এ দিকে মাহমুদ ভাই ও
গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আমাদের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ওনার নতুন কর্মস্থলে।
সপ্তাহ দুয়েক পরপর উনি বাড়িতে আসতেন। বাড়িতে এসেই উনি সোজা চলে আসতেন আমাদের
বাড়িতে, যে কয়দিন ছুটি থাকত সে কয়দিন আমাদের সাথেই থাকতেন। অনেকেই ওনাকে আমার
মায়ের সন্তান বলতেন। উনি বাড়িতে আসা মানেই হল পড়াশুনা ইত্যাদি নিয়ে আমার উপর স্টিম
রোলার চালানো। আর যেহেতু বাকী ১২-১৩ দিন উনি থাকতেন ওনার কর্মস্থলে এ সুযোগে আমি
মহারাজার মত ঘুরে বেড়াতাম, দু একটা করে সিগারেট টানা শিখলাম, এবং সমকামী এক বড়
ভাইকে সময় দিয়েই পার করতাম ওনার অনুপস্থিতির দিনগুলি। মনে মনে চাইতাম মাহমুদ ভাই
যেন আমাদের বাড়িতে না আসে। উনি আসা মানেই তো পড়াশুনা নিয়ে ঝামেলা পাকানো। সদ্য
যৌবনের মাঝে কার ভাল লাগে পড়াশুনা। আমার চাই ঐ সমকামী বড় ভাইকে। মাহমুদ ভাই আমাকে মানুষ
করার জন্য এতই করেছেন যে, উনি ওনার ভাই বোনদের কখনো পড়াশুনা নিয়ে মাথা ঘামান নি,
ফলে একটা বোন ছাড়া বাকী ভাই বোনেরা কেউই ৫ম শ্রণির উপরে ঊঠতে পারেনি। শুধু একটামাত্র
বোন এস এস সি পাশ করেছিল। মাহমুদ ভাই ছিলেন গ্রাজুয়েট সাইন্স এর কোন একটা সাবজেক্ট
থেকে।